PART: 6 || #WBCS #2020 6TH OF #MAINS SERIES

বন্ধুরা,
চার নম্বর পোস্টে আমি পরীক্ষার পদ্ধতির সাথে আরো দশটা টিপস আলোচনা করেছিলাম। এও বলেছিলাম যে এগুলোর কারণ নিয়ে তোমরা ভাবো। আসলে আমাদের মধ্যে সবসময়েই একটা অস্থিরতা কাজ করে। কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল এই নিয়ে।
যে কোনো রকম পড়াশোনা শুরু যে তুমি করবে, সেটা কিন্তু পরিশ্রমসাপেক্ষ। তাই আনাড়ির মতো পড়ে যাওয়া এখানে শেষ কথা নয়। যেটাই করবে সেটার জন্য যেন যথেষ্ট যুক্তি থাকে তোমার কাছে।কেন সেটা করবে ।
আজকের আলোচনায় কিছু সেরকম সিদ্ধান্ত না নিতে পারার মতন জায়গা তুলে ধরছি।
সবচেয়ে বড় সমস্যা চাকরী করে সময় দেওয়া। চাকরী করবো কি করবোনা । যদি করি পড়বো কখন।
পড়াশোনা মানে এম এস সি , বা বি এড করবো নাকি করবোনা। সেটা করতে করতে কি পড়া যায়?
পড়ার পদ্ধতি নিয়ে দুজন দুরকম কথা বলছে কোনটা ঠিক বুঝতে পারছিনা।
এসো প্রথমে দেখেনি সময় দেবার ব্যাপারে।
1। তোমার বয়েস যদি পারমিট করে , খাটতে যদি ভয় না থাকে , বাড়িতে টাকা দেবার মতন চাপ না থাকে , আর সবচেয়ে বড়ো কথা এই পরীক্ষাটা নিয়ে যদি তুমি মানসিকভাবে তৈরি থাকো, মানে এটাই তোমার ধ্যান জ্ঞান। তাহলে এখনি চাকরীর রাস্তায় না যাওয়াই ভালো। অন্তত সেইসব চাকরী যেখানে দিনের বেশ কিছুটা সময় এর পেছোনেই চলে যাচ্ছে।আর তুমি বুঝতে পারছো যে সেখান থেকে ওই কিছু টাকা ছাড়া আর কোনো প্রাপ্তির আশা নেই। তবে এই সিদ্ধান্তটা একদমই পরিস্থিতিসাপেক্ষে আর পরিবারের সাথে কথা বলে।
2 সিদ্ধান্ত বারবার বদলিওনা। নেবার আগে ভাবো। সেটা বই চয়েস হোক, পড়ার সময় দেওয়া বা অন্য কিছু। WBCS পড়তে গেলে শুধু গ্র্যাজুয়েট হলেই চলে । পাশ বা অনার্স যে কোনো রকম। বাকি যা করবে সেটা ভালো করে ভেবে করো। বি এড করে স্কুলের রাস্তাও খোলা রাখবে বা আরও কিছু করবে সেরকম ভাবলে মনে রেখো সেই কাজের জন্য সময়ও তোমাকে দিতে হবে। একটা দিন 24 ঘন্টাতেই কখনোইহবে। সেটা কিন্তু কখনোই বাড়বেনা। যদি WBCS এর পড়াতে দিনে চারটে সাবজেক্ট পড়তে তোমার আট ঘন্টা লাগে আর আরো একটা পরীক্ষা বা ডিগ্রিতে আরো আট ঘন্টা তাহলে তুমি এই ঘন্টাগুলো আনবে কোথা থেকে। ভালো ফল যদি করতেই হয়, তাহলে দুটোয় সমান সময় দিয়ে একটানা বছর খানেক চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে কি?
মনে রেখো। আমি একবারো কিন্তু বলিনি যে কিছুই কোরোনা। নিশ্চয়ই করো কিন্তু একটা কেটে আরেকটা বা এটা থেকে সময় কেটে ওটা এভাবে লস টা তোমারই।কেননা কোনোটাই ভালো করে হবেনা। না হবে ডিগ্রির ফল ভালো। না হবে ডবলু বি সি এস।
এবার তোমার শেখা যদি ভালো করে না হয়, পরীক্ষা সামনে চলে এল। আর তুমি শুধু বসতে হয় তাই বসলে ওই ধর তক্তা মার পেরেক করে। তাহলে ওই বার বার বসেই যাবে। কারণ ও বুঝতে পারবেনা ফেল করার ।
এবার আসি চাকরী যাদের করতেই হবে তাদের কথায়।তোমরা যখন জানো যে চাকরী করতেই হবে তোমাদের। তাহলে আমি যদি আজ পুরো ঘন্টা ধরে একটা রুটিন করেও দি। তোমরা কি পারবে সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে। সম্ভব না। দুদিন ঠিক চলবে । তিন দিনের দিন হবে না। আবার আমাকে বলবে বদলে দিন। নাহলে আর কাউকে বলবে।
সেক্ষেত্রে একটাই বিষয় করণীয়। সকালে অফিস যাবারআগেই যা শেষ করবার করে ফেল। অর্থাৎ টেক্সট বই পড়ে ফেলবার কাজটা হয়ে যাক অফিস যাবার আগে। অফিসে হোক খবরের কাগজ। বাড়ি ফিরে শুধু অঙ্ক। আর এখানে মনে রেখো। যে কোনো ভাবে পাওয়া একটু সময় তোমাকে কাজে লাগাতে হবে। কে কখন টাইম বেধে দেবে তার অপেক্ষা কোরোনা। সত্যি বলতে কি। এটা সম্ভব ও না। কাজের জন্যই তোমরা সময় দিতে পারোনা। তাহলে আমরা যে কেউ সময় বের করার কথাই তো বলব। এর বাইরে কোনো উপায় আছে কি?
যাই হোক। আমি সাবজেক্ট ধরে একটা পড়বার নিয়ম চাকরী করা আর না করাদের জন্য পরের পোস্টে দেব। একটু ওয়েট করে যাও।
3। এবার এসো পদ্ধতি। যে কোনো পাশ করা অফিসার যে পদ্ধতিটা তোমাকে বলছে সেটাই সত্যি। কিন্তু এই অনেক মতের কোনটা তোমার জন্য ঠিক সেটা তুমিই ঠিক করো। কেননা আমি যেটা বলছি সেটা তোমার কমফোর্টেবল নাও হতে পারে। সেখানে একজন বা দুজনের মতামত নাও। ভেবে নাও কোনটা তুমার জন্য ঠিক। এবার একদিনো দেরি না করে লেগে পড়ো। এখন সোসাল নেটওয়ার্কিং এর যুগে এটা খুব একটা শক্ত কাজও না।
4। এবার আরেকটা ভাইটাল কথা । প্রেম, বিয়ে, এর সাথে ডবলু বি সি এস এর কোনো শত্রুতা নেই। শেষ কথা এখানে সময়। সময় দিলে পাশ করবে। নাহলে করবে না। সোজা হিসেব। তোমার কোনো রকম মানসিক অবস্থার জন্য কিন্তু পি এস সি দায়ি না। তোমার বর পড়তে দিচ্ছেনা। বা প্রেমিক। বা বাড়ি বা বান্ধবী এসব কিছুই তোমার ব্যক্তিগত সমস্যা।
আজ তুমি অফিস জয়েন করে ব্রেক আপ হয়েছে বলে যদি একদিন অফিসে পাবলিক সার্ভিস না দাও একটাও ক্যালানি ফসকাবেনা।তাই ব্যক্তিগত সমস্যা আর কাজের আর পড়াশোনা আলাদা রাখো। তুমি অনেক চেষ্টা করেছো তাতে কারোর কিছুই যায় আসেনা। পাশ না করলে কেউই ছাড়বেনা কথা শোনাতে।
মা বাবাও না।
সাত নম্বর পোস্টে রুটিন নিয়ে আসছি।

Comments

Popular posts from this blog

My Reasoning Videos which I recorded in CHESTA.

PART: 19 || #WBCS #2020 19TH OF #MAINS SERIES

PART:18 || #WBCS #2020 18TH OF #MAINS SERIES