PART: 4 || #WBCS #2020 4TH OF #MAINS SERIES

বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে আমরা ডবলু বি সি এস এর পরীক্ষাটা ভালো করে বুঝবো।
এই পরীক্ষাতে তিনটে লেয়ার। প্রিলি, মেন, পারসোনালিটি টেস্ট।
প্রিলি হবে 200 নম্বর। আড়াই ঘণ্টা।
সাবজেক্ট ভাগটা দেখো।
ইতিহাস 50
ভূগোল 25
ইংরেজি 25
কারেন্টঅ্যাফেয়ার্স 25
সায়েন্স(ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি,বায়োলজি,কম্পিউটার) 25
অঙ্ক আর জি আই 25
ইকনমিক্স আর পলিটি 25
যদি পাশ করো তাহলে মেন দেবার যোগ্যতা পাবে।কিন্তু এখান থেকে কোনো নম্বর পরে যোগ হবেনা।
মেন
চারদিনের মেন।
1। বাংলা ডেসক্রিপটিভ।200। 9টা থেকে 12 টা।
ইংরেজি ডেসক্রিপটিভ, 200। 2 টা থেকে 5টা।
2। ইতিহাস ভূগোল 100 করে 200। অবজেকটিভ। 9টা থেকে 12 টা।
সায়েন্স আর টেকনোলজি 200। এখানে ফিজিক্স ,কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, কম্পিউটার,জি কে, কারেন্টঅ্যাফেয়ার্স সবে মিলে। অবজেকটিভ। 2টো থেকে 5 টা।
3। ইকনমিক্স আর পলিটি 100 করে 200। 9টা থেকে 12 টা । অবজেকটিভ।
অঙ্ক আর জি আই 100 করে 200। 2 টা থেকে 5 টা।
4। অপশনাল ডেসক্রিপটিভ পেপার 1
অপশনাল ডেসক্রিপটিভ পেপার 2।
মেন পাশ করাটা অনেক ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে বেশী তোমার পড়াশোনা। সে বছরের পেপারের স্ট্যান্ডার্ড। ভ্যাকান্সি। তাই কাট অফ ওভাবে বলা মুশকিল।
মেন পাশ হলে হবে পারসোনালিটি টেস্ট। সেখানে এ আর বি গ্রুপের 200 সি গ্রুপ 150 ডি গ্রুপ100।
এবার কয়েকটা পয়েন্ট আগাম হিন্ট দিয়ে রাখি। যেগুলো আমরা এর পরের পোস্টে আলোচনা করবো। এগুলো নিয়ে তোমরাও চিন্তা করো। কেন আমি এরকম বলছি। আমি তো বলবোই। তাও তোমরা নিজে বুঝলে ফল হয় বেশী।
1 যে কোনো রকম পড়াশোনা শুরু যে তুমি করবে, সেটা কিন্তু পরিশ্রমসাপেক্ষ। তাই আনাড়ির মতো পড়ে যাওয়া এখানে শেষ কথা নয়। যেটাই করবে সেটার জন্য যেন যথেষ্ট যুক্তি থাকে তোমার কাছে।কেন সেটা করবে ।
2 সিদ্ধান্ত বারবার বদলিওনা। নেবার আগে ভাবো। সেটা বই চয়েস হোক, পড়ার সময় দেওয়া বা অপশনাল কি নেবে এ সবকিছু বারবার বদলানো ঠিক না।
3 চাকরী করা দের সময় দেওয়াতে সমস্যা অনেক। সেখানে একটা উদ্দেশ্যই প্রধান। যেভাবে হোক সময় বাড়াও। যেভাবে হোক। এটা নিয়েও পোস্ট দেব।
4 পড়াশোনা করতে হবে অবশ্যই ইংরেজিতে। বিশেষ করে মেনের অবজেকটিভ পার্ট এর জন্য। অপশনাল বাংলায় দেয়া যায়। এখানে বাংলাতে লিখলে বা ইংরেজিতে সেটা ম্যাটার করেনা।
5 যে কোনো সাবজেক্ট প্রথমে পড়তে হবে টেক্সট বই ধরে। তারপর মক। তারপর আসল পরীক্ষা।
6 মেনে নম্বর তোলার জায়গা ওই অবজেকটিভ এর জায়গাটা। সেখানে যত বেশি তুলবে ততটা সুবিধা।
7 প্রিপারেশন চলবে সারাবছর। পরীক্ষার আগে নয়। পরীক্ষার আগে মানসিক ভাবে ফ্রি হতে শেখো।
8 আন্দাজে মারা একদম বন্ধ। একটাও আন্দাজ আজ থেকে না। কেন সেটার পোস্ট দিব।
9 যে সাবজেক্টে যত বেশি নম্বর সেখানে সময় খরচ হবে তত বেশী। হতে পারে একটা সাবজেক্টে তুমি কনফিডেন্স পাওনা। তাও নম্বর বেশী থাকলে পড়তে হবেই। কম থাকলে সেইভাবে প্রায়োরিটি ঠিক হবে।
10 সবচেয়ে জরুরি খবরের কাগজ আর নিজের চারপাশ টা ভালো করে জানা। এটা ছাড়া কোনো পরীক্ষা পাশ হবেনা।
এগুলো আমি কিছু কিছু করে এক্সপ্লেন করবো। এর পরের আলোচনা নম্বরের ভাগ অনুযায়ী প্রায়রিটি সাজানো নিয়ে।

Comments

Popular posts from this blog

My Reasoning Videos which I recorded in CHESTA.

PART: 19 || #WBCS #2020 19TH OF #MAINS SERIES

PART:18 || #WBCS #2020 18TH OF #MAINS SERIES