ইকনমির কন্সেপ্ট— Public Finance (Basics)
এখানে Public বলতে সরকারকে বোঝানো হচ্ছে, এবং Finance এর অর্থই হল অর্থ। কাজেই Public Finance বলতে সরকারের অর্থ বা টাকাপয়সা বোঝাচ্ছে। Dalton সাহেব সহজ ভাষায় এর সংজ্ঞা দিয়েছিলেন।
এইবারে প্রশ্ন হল— Public Finance এর কতগুলো দিক রয়েছে। উত্তর হল— চারটি।
১) Public Revenue
২) Public Expenditure
৩) Public Debt
৪) Financial Administration
২) Public Expenditure
৩) Public Debt
৪) Financial Administration
একটু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
১) Public Revenue —
ইকনমির ভাষায় Revenue বলতে Income বোঝানো হয়। তাহলে Public Revenue হল সরকারের Income বা আয়। সরকারের আয় কিভাবে হয়? দুভাবে— Tax Revenue এবং Non-Tax Revenue
Tax Revenue টা কি?
কর বসিয়ে সরকারের যে আয় হয় তাকে বলে
Tax Revenue । সরকার এই কর কার ওপর বসায়? আম আদমির ওপর। এই কর কত রকমের হয়? দুই রকমের—
Direct Tax এবং Indirect Tax। Direct Tax এর সবচাইতে সহজ উদাহরণ হল
Income Tax যা সরাসরি আম আদমির পকেট কেটে নেওয়া হয়।
Tax Revenue । সরকার এই কর কার ওপর বসায়? আম আদমির ওপর। এই কর কত রকমের হয়? দুই রকমের—
Direct Tax এবং Indirect Tax। Direct Tax এর সবচাইতে সহজ উদাহরণ হল
Income Tax যা সরাসরি আম আদমির পকেট কেটে নেওয়া হয়।
Sales Tax অথবা এখনকার যুগে GST হল Indirect Tax এর উদাহরণ। সরকার এইগুলো সরাসরি আম আদমির ওপর না চাপালেও দোকানদারেরা এই করের বন্দুকের নলটা আম আদমির দিকেই ঘুরিয়ে দেয়। এই কারণে একে Indirect Tax বলে।
তাহলে Non-Tax Revenue বলতে কি বোঝায়?
নানারকম ফি — কোর্ট ফি, লাইসেন্স ফি, পাসপোর্ট ফি, যেগুলি সরকারের ঘর থেকে কাজ নিতে গেলে দরকার পড়ে। Tax এর সাথে ফি এর পার্থক্য এটাই যে — আম আদমি নিজেদের মধ্যে লেনদেন করলে কর চাপে, আর সরকারের ঘরে কাজ নিতে গেলে ফি চাপে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারী কোম্পানিগুলো যে লাভ করে, সেই টাকাও Non-Tax Revenue এর মধ্যে পড়ে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারী কোম্পানিগুলো যে লাভ করে, সেই টাকাও Non-Tax Revenue এর মধ্যে পড়ে।
২) Public Expenditure— আয় করলে তো ব্যয় করতে হবেই। সরকার যখন রাস্তাঘাট তৈরির মতন উন্নয়নমূলক কাজ করে, তখন সরকারের ব্যয় হয় বৈকি। এ ছাড়াও ভর্তুকি,
মাইনে, DA, Pay Commission, Pension বাবদ সরকারের খরচ হয়।
মাইনে, DA, Pay Commission, Pension বাবদ সরকারের খরচ হয়।
এই খরচের শ্রেণী কত প্রকার—
ক) Revenue Expenditure and Capital Expenditure
খ) Developmental and Non-Development Expenditure
Revenue Expenditure কি?
এটা হল সরকারের সংসার চালাতে যে খরচটা হয়। অর্থাৎ current বা consumption expenditure— স্বাস্থ্য , শিক্ষা , প্রতিরক্ষা ইত্যাদি খাতে ব্যয়।
Capital Expenditure কি?
ভবিষ্যতে কোনো asset তৈরি করতে যে খাতে ব্যয় করা হয় তাকেই বলে Capital Expenditure। ধর ইস্পাত কারখানা তৈরি করতে খরচ করা হল। এর ফলে ইস্পাত উৎপাদন হবে যেটা হল একটা asset। অথবা রাস্তা তৈরি করে টোল ট্যাক্স বসানো হল। এটাও হবে Capital Expenditure।
Transfer Payments এবং non-transfer payments কি?
Transfer Payments হল সেই সমস্ত খরচ যার জন্য কোনো return পাওয়া যায় না। যেমন পেনশন, বেকার ভাতা, অসুস্থতার বিমার টাকা, ঋণের সুদ।
Non-transfer expenditure বা payments হল সেই সমস্ত ব্যয় যার দরুণ কোনো দ্রব্য বা পরিষেবা return পাওয়া যায়। যেমন ধর প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করলে সরকার পাবে সৈন্যদের , শিক্ষা খাতে ব্যয় করলে পাবে ভালো শিক্ষক, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করলে পাবে ডাক্তার।
খ) Developmental and Non-Development Expenditure
রাস্তাঘাট তৈরি, সেচ, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য খরচকে বলে developmental খরচ। সবকা সাথ সবকা বিকাশ— ওই আর কি। এদিকে পুলিশ প্রশাসনের খরচের মধ্যে তো বিকাশের কোনো চিহ্ন নেই, কাজেই এটা হল non-development অথবা unproductive খরচ। তবে কোনটা productive আর কোনটা unproductive, এর কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট guideline নেই।
৩) Public debt— সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্যটা ঋণাত্মক হয়, অর্থাৎ যদি আমদানি আঠানি খরচা রুপাইয়া হয়, তাহলে তো সরকারকে ধার করতে হবে। যেমন মাসের শেষে টাকা ফুরিয়ে গেলে আমরা হয় লক্ষ্মীর ভাঁড় ভাঙি অথবা বন্ধুদের কাছে হাত পাতি। Public debt ও দুই রকমের— internal এবং external। যখন সরকার দেশের মধ্যেই ধার করে (treasury bills, ways and means advance, স্বল্প সঞ্চয়ের বিনিময়ে সরকারি securities বন্ধক রাখা ইত্যাদি), তখন তাকে internal debt বলে। অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাঁড় ভাঙা।
সরকার যখন দেশের বাইরের উৎস থেকে ধার করে তখন তাকে external debt বলে।
সরকার যখন দেশের বাইরের উৎস থেকে ধার করে তখন তাকে external debt বলে।
সরকার তার budget deficit বা বাজেটের ঘাটতি মেটানোর জন্য ধার করে। আবার নীতি আয়োগের আওতাভুক্ত পরিকল্পনার জন্যও সরকারকে ধার করতে হয়।
৪) Financial Administration— সরকারের যদি আয়, ব্যয় এবং ধার দেনা হয়ে থাকে, তাহলে সেইগুলি manage করার জন্য নানা দপ্তর খুলে রাখতে হবে বৈকি। কারণ সরকারের টাকা মানে জনতার টাকা। এর জন্য নানারকম আইন কানুন রয়েছে। সেই সমস্ত written rules এবং procedures এর মধ্যে accountability এবং regularity এর ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে Income tax, State tax এর মত দপ্তরগুলো Financial Administration করে থাকে। বাজেটের মধ্যে দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক performance এর হাল হকিকতের পরিচয় পাওয়া যায়।
Exchange-Traded Fund (ETF)
ধর তুমি শেয়ারে টাকা খাটাচ্ছ। কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনতে পুরো টাকা ঢেলে দিলে , এইবারে সেই কোম্পানি লাটে উঠল। তাহলে তো তোমার টাকাও জলে গেল।
কাজেই, এটি না করে যদি একাধিক কোম্পানির শেয়ার মিলে একটি ঝুড়ি তৈরি করা যায়, যার মধ্যে বিনিয়োগ করলেই সেই সমস্ত কোম্পানির শেয়ারে মিলিয়ে মিশিয়ে বিনিয়োগ করা যায়— এমনটি হলে আরও ভালো হত নিশ্চয়, কারণ এতে রিস্ক কম হত।
এখানেই আসে মিউটুয়াল ফান্ডের ফান্ডা, এবং
ETF হল এই পরিবারেরই একজন সদস্য।
কাজেই, এটি না করে যদি একাধিক কোম্পানির শেয়ার মিলে একটি ঝুড়ি তৈরি করা যায়, যার মধ্যে বিনিয়োগ করলেই সেই সমস্ত কোম্পানির শেয়ারে মিলিয়ে মিশিয়ে বিনিয়োগ করা যায়— এমনটি হলে আরও ভালো হত নিশ্চয়, কারণ এতে রিস্ক কম হত।
এখানেই আসে মিউটুয়াল ফান্ডের ফান্ডা, এবং
ETF হল এই পরিবারেরই একজন সদস্য।
ধর ভারত সরকার তার PSU গুলির বিলগ্নীকরণ করতে চায়। টুকরো টুকরো করে সেই কোম্পানিগুলির শেয়ার বাজারে না বেচে ETF এর মারফৎ লুকোচুরি খেলতে লাগল। আমরা জানি যে institutional investors এরা অর্থাৎ বড় বড় রাঘব বোয়ালেরা শেয়ার বাজারে কোটি কোটি টাকা খাটায়। এরা নিজেদের মধ্যে শেয়ার আদানপ্রদানের জন্য একটি ঝুড়ি তৈরি করল। এইবারে ঝুড়ি মানে তো দামের হেরফের মাপার জন্য একটি সূচক তৈরি করতে হবে SENSEX বা NIFTY এর মতন। এর ওঠানামা দেখে বিনিয়োগকারীরা টাকা ঢালবেন। ETF এর Exchange কথাটির অর্থই হল বিনিময়। মিউচুয়ালের ফান্ডের মতন দিনের শেষে এর কোনো Net Asset Value (NAV) থাকে না। একেবারে তাৎক্ষণিক বা Real time basis এ এর দরদাম হাঁকা হয়। অর্থাৎ এর মধ্যে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড— দুইয়েরই বৈশিষ্ট রয়েছে।
তাহলে ETF এ আমি বিনিয়োগ করব কেন?
কারণ অন্যান্য মিউচুয়াল ফান্ডের মতন এখানে ফান্ড ম্যানেজারেরা নিজেরা কোম্পানি ঠিক করে ঝুড়ি তৈরি করেন না। তা ছাড়া এখানে দালালি বাবদ খরচ একেবারেই কম। নতুন বিনিয়োগকারীরা কম খরচ আর কম রিস্ক দেখে এখানেই বিনিয়োগ করার কথা ভাবেন।
উদাহরণ— কিছুদিন আগে Bharati22 বলে একটি ETF বাজারে আসে, যা ২২ টি সরকারী ও কয়েকটি বেসরকারী কোম্পানি নিয়ে তৈরি করা ঝুড়ি। বর্তমানে সোনার দামের হেরফের বেশি হওয়ার জন্য Gold ETF এর লেনদেন ও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
Written By Dipayan Ganguly.
Comments
Post a Comment
Your valuable comments give me the Inspiration to write such kind of crucial post. So, don't forget to write a comment after reading each post. However, please don't comment absurd word which hurt me.